রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ও বন্ধু হওয়ায় আমরা আশাবাদী শীঘ্রই সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে৷’’
অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর বাংলাদেশ থেকে ৬৭০০ পড়ুয়াকে ভারতে ফেরানো গিয়েছে৷ বৃহস্পতিবার এই কথা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল৷
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের বিরোধিতা করে আন্দোলন শুরু হয় বাংলাদেশে৷ ক্রমশ তা হিংসাত্মক চেহারা নেয়৷ কার্যত পুরো বাংলাদেশই জ্বলতে থাকে৷ সেদেশের কড়া হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে থাকে৷ কারফিউ জারি করা হয়৷ বাংলাদেশের সেনা ও আধাসেনা নামানো হয় পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য৷ কিন্তু তার মধ্যেই শতাধিক আন্দোলনকারী নিহত হয়৷ ফলে আন্দোলনের মাত্রা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে৷
এই পরিস্থিতি বিপদে পড়েন বাংলাদেশে পড়তে যাওয়া ভারতের ছাত্রছাত্রীরা৷ ভারত সরকারের তরফে বাংলাদেশে থাকা ভারতীয়দের উদ্দেশ্য়ে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়৷ বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়৷ সরকারি তরফে চেষ্টা করা হয় সেখানে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফেরানোর জন্য৷ অনেকে ব্যক্তিগত চেষ্টাতেও দেশে ফেরার চেষ্টা করেন৷
তবে এ দিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল যা বলেছেন, তা থেকে স্পষ্ট যে ৬৭০০ জনকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা গিয়েছে৷ এখনও হয়তো অনেকে আটকে রয়েছেন৷ তাঁদেরও ফেরানোর ব্যবস্থা সরকার করবে বলে মনে করা হচ্ছে৷
অন্যদিকে বাংলাদেশের পরিস্থিতিও ক্রমশ শান্ত হচ্ছে৷ ভারত সরকারও আশা করছে যে প্রতিবেশী এই দেশের পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে৷ এ দিন সেকথাও জানিয়েছেন রণধীর জয়সওয়ালও৷ তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ও বন্ধু হওয়ায় আমরা আশাবাদী যে সে দেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে৷’’
যে সমস্ত পড়ুয়ারা বাংলাদেশ থেকে ফিরেছেন, তাঁদের অনেকেই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা৷ তাঁরা ফিরে সেখানে গত কয়েকদিনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথাও শুনিয়েছেন সংবাদমাধ্যমে৷ দেশে ফিরে যে তাঁরা স্বস্তি পাচ্ছেন৷ সেকথাও জানিয়েছেন৷ খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক