উভয় পক্ষ থেকে ৪৫ জন সেনা সদস্য ‘ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও নিবিড় প্রশিক্ষণে’র সুযোগ লাভ করবেন বলে জানা গিয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ বাহিনী দল ‘বজ্র প্রহার’ নামের ভারত-যুক্তরাষ্ট্র যৌথ বিশেষ বাহিনীর মহড়ায় অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের আইডাহো রাজ্যের অর্চার্ড কমব্যাট ট্রেনিং সেন্টারে পৌঁছেছে। এই ১৫তম সংস্করণ মহড়াটি চলবে ২ নভেম্বর থেকে ২২ নভেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত। এটি উভয় দেশের কৌশলগত প্রতিরক্ষা মহড়াগুলোর ধারাবাহিকতার একটি অংশ, যা গত বছরের ডিসেম্বরে মেঘালয়ের উমরোইতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
এবারের ‘বজ্র প্রহার’ মহড়া ‘যুদ্ধ অভ্যাস’ মহড়ার পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা সেপ্টেম্বর ২০২৪ এ রাজস্থানে আয়োজিত হয়েছিল। এ বছর এটি দ্বিতীয় যৌথ সামরিক মহড়া, যা উভয় দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতার প্রতি প্রতিশ্রুতি শক্তিশালী করে তুলছে, বিশেষ করে বৈচিত্র্যময় অপারেশনাল পরিবেশে যৌথ প্রস্তুতি বাড়ানোর মাধ্যমে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৪৫ জন বিশেষ বাহিনী সদস্য এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত গ্রিন বেরেটদেরও ৪৫ জন সদস্য অংশ নেবে। উভয় দল মরুভূমি ও আধা-মরুভূমি অঞ্চলে যৌথ বিশেষ অভিযানে দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে মহড়ায় অংশ নেবে। এই মহড়ার ছোট আকার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও নিবিড় শেখার পরিবেশ নিশ্চিত করছে।
‘বজ্র প্রহার’ মহড়ার মূল লক্ষ্য হলো উভয় দেশের সামরিক অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করা, বিশেষ করে অপারেশনাল দক্ষতা এবং নির্ভরতার মাধ্যমে যৌথ অভিযানের জন্য তাদের পারস্পরিক সক্ষমতা বাড়ানো। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “এই মহড়ার লক্ষ্য হলো ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অপারেশনাল সামর্থ্য বৃদ্ধি, পারস্পরিক বোঝাপড়া ও বিশেষ অপারেশন কৌশল বিনিময়।”
মহড়ায় উভয় বাহিনী বিভিন্ন কৌশলগত অনুশীলনে অংশ নেবে, যার মধ্যে রয়েছে যৌথ মিশন পরিকল্পনা, গোপনীয় অভিযান এবং বিশেষ কৌশলগত অনুশীলন। এছাড়াও, অনুশীলনে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত হয়েছে মানববিহীন বায়বীয় সিস্টেম (ইউএএস) ব্যবহার, যা জটিল অঞ্চলে গোয়েন্দা সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। ইউএএস প্রযুক্তি আধুনিক যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা মাটিতে অবস্থানকারী সেনাদের তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য প্রদান করতে সহায়তা করে।
এছাড়াও, মহড়ায় মানসিক যুদ্ধ এবং যৌথ টার্মিনাল আক্রমণ নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মানসিক যুদ্ধের প্রশিক্ষণ শত্রুর উপর প্রভাব বিস্তারের কৌশল এবং অভিযান উন্নত করার জন্য সাহায্য করবে, যেখানে যৌথ টার্মিনাল আক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নির্ভুলভাবে বিমান সহায়তার সাথে মিল রেখে হামলা পরিচালনা করা হয়।
‘বজ্র প্রহার’ মহড়ার আরেকটি লক্ষ্য হলো উভয় দেশের সেনাদের মধ্যে বন্ধুত্ব এবং আস্থা স্থাপন করা। প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ে দীর্ঘদিনের সহযোগিতার ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র এই মহড়ার মাধ্যমে সামরিক সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করে তুলতে চায়।
মহড়ার মাধ্যমে ভারতীয় ও আমেরিকান সেনারা বিভিন্ন কৌশল শিখতে পারবে, যা যৌথ পরিকল্পনা, কার্যকর যোগাযোগ ও কৌশলগত সমন্বয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। মহড়ার শেষে উভয় বাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনার জন্য আরও সক্ষম হবে।
‘বজ্র প্রহার’ ভারত-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা উভয় দেশকে কৌশলগত ও কার্যক্রমগত সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী করে তুলছে।
এই মহড়াটি এমন একটি সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে, এবং ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহযোগিতা এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক
এবারের ‘বজ্র প্রহার’ মহড়া ‘যুদ্ধ অভ্যাস’ মহড়ার পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা সেপ্টেম্বর ২০২৪ এ রাজস্থানে আয়োজিত হয়েছিল। এ বছর এটি দ্বিতীয় যৌথ সামরিক মহড়া, যা উভয় দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতার প্রতি প্রতিশ্রুতি শক্তিশালী করে তুলছে, বিশেষ করে বৈচিত্র্যময় অপারেশনাল পরিবেশে যৌথ প্রস্তুতি বাড়ানোর মাধ্যমে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৪৫ জন বিশেষ বাহিনী সদস্য এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত গ্রিন বেরেটদেরও ৪৫ জন সদস্য অংশ নেবে। উভয় দল মরুভূমি ও আধা-মরুভূমি অঞ্চলে যৌথ বিশেষ অভিযানে দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে মহড়ায় অংশ নেবে। এই মহড়ার ছোট আকার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও নিবিড় শেখার পরিবেশ নিশ্চিত করছে।
‘বজ্র প্রহার’ মহড়ার মূল লক্ষ্য হলো উভয় দেশের সামরিক অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করা, বিশেষ করে অপারেশনাল দক্ষতা এবং নির্ভরতার মাধ্যমে যৌথ অভিযানের জন্য তাদের পারস্পরিক সক্ষমতা বাড়ানো। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “এই মহড়ার লক্ষ্য হলো ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অপারেশনাল সামর্থ্য বৃদ্ধি, পারস্পরিক বোঝাপড়া ও বিশেষ অপারেশন কৌশল বিনিময়।”
মহড়ায় উভয় বাহিনী বিভিন্ন কৌশলগত অনুশীলনে অংশ নেবে, যার মধ্যে রয়েছে যৌথ মিশন পরিকল্পনা, গোপনীয় অভিযান এবং বিশেষ কৌশলগত অনুশীলন। এছাড়াও, অনুশীলনে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত হয়েছে মানববিহীন বায়বীয় সিস্টেম (ইউএএস) ব্যবহার, যা জটিল অঞ্চলে গোয়েন্দা সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। ইউএএস প্রযুক্তি আধুনিক যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা মাটিতে অবস্থানকারী সেনাদের তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য প্রদান করতে সহায়তা করে।
এছাড়াও, মহড়ায় মানসিক যুদ্ধ এবং যৌথ টার্মিনাল আক্রমণ নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মানসিক যুদ্ধের প্রশিক্ষণ শত্রুর উপর প্রভাব বিস্তারের কৌশল এবং অভিযান উন্নত করার জন্য সাহায্য করবে, যেখানে যৌথ টার্মিনাল আক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নির্ভুলভাবে বিমান সহায়তার সাথে মিল রেখে হামলা পরিচালনা করা হয়।
‘বজ্র প্রহার’ মহড়ার আরেকটি লক্ষ্য হলো উভয় দেশের সেনাদের মধ্যে বন্ধুত্ব এবং আস্থা স্থাপন করা। প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ে দীর্ঘদিনের সহযোগিতার ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র এই মহড়ার মাধ্যমে সামরিক সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করে তুলতে চায়।
মহড়ার মাধ্যমে ভারতীয় ও আমেরিকান সেনারা বিভিন্ন কৌশল শিখতে পারবে, যা যৌথ পরিকল্পনা, কার্যকর যোগাযোগ ও কৌশলগত সমন্বয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। মহড়ার শেষে উভয় বাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনার জন্য আরও সক্ষম হবে।
‘বজ্র প্রহার’ ভারত-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা উভয় দেশকে কৌশলগত ও কার্যক্রমগত সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী করে তুলছে।
এই মহড়াটি এমন একটি সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে, এবং ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহযোগিতা এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক