তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পরে প্রধানমন্ত্রী মোদী বিদেশ সফরে বেরিয়েছেন। ইতিমধ্যে রা্শিয়া, ইউক্রেন সফর করেছেন।
এনডিএ সরকার তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিদেশ সফরে বেরিয়ে পড়েছেন। ইতিমধ্যে রা্শিয়া, ইউক্রেন সফর করেছেন। এরপর মোদী সিঙ্গাপুর সফরে যাবেন। চলতি মাসের ৪ ও ৫ তারিখ মোদী সিঙ্গাপুর সফরে যাচ্ছেন। গত ইউক্রেন সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ছিলেন বিদেশমন্ত্রী। তবে ৪ ও ৫ তারিখ নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিদেশমন্ত্রী সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন না বলে জানা গিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৪ সালে মোদী ক্ষমতাসীন হওয়ার পর তাঁর ঘনঘন বিদেশসফর ঘিরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো প্রশ্ন তুললেও মোদী সেসবের পরোয়া করেননি। সংবাদমাধ্যমে এসম্পর্কে যে সমালোচনা হয়েছে তাতেও মোদী নির্বিকার। নতুন করে মোদী একের পর এক বিদেশ সফর করছেন এমন একসময় যখন ভারতের অভ্যন্তরীঁণ পরি্স্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
একে তো গোটা দেশজুড়ে তীব্র দারিদ্র্য, বেকারত্ব, এছাড়া বাংলায় মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পরে জাতীয় সংবাদমাধ্যমে লাগাতারভাবে প্রকাশিত হচ্ছে নাবালিকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মহিলাদের প্রতি যৌন নির্যাতনের ঘটনা। একইসঙ্গে চলছে ধর্ষণও।
দেশের সংসদীয় রাজনৈতিক দলগুলো ভারতের মাটিতে সামাজিক অস্থিরতা নিয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে আসরে নেমে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বারংবার দেশ ছাড়ছেন মোদী। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দাবি জানানো হয়েছে, মোদীর সিঙ্গাপুর সফরের ফলে উপকৃত হবে ভারত ও সিঙ্গাপুর উভয়দেশই।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬ বছর পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, মোদীর সিঙ্গাপুর সফরে ভারত-সিঙ্গাপুর দু’দেশের কৌশলগত সমঝোতা আরও শক্তিশালী হবে। আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর দেশগুলোর মধ্যে ভারতের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের বাণি্জ্যিক সম্পর্ক বর্তমানে সবচেয়ে শক্তিশালী। ২০২৩ সালে সিঙ্গাপুর ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ করেছে ১১ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার।
ভারত সরকারের দাবি, মোদীর আসন্ন সিঙ্গাপুর সফরের ফলে নানা শিল্পক্ষেত্রে ভারত উপকৃত হবে। এদিকে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারতীয় সমাজে নারীর প্রতি যৌনহিংসা-সহ যে অস্থিরতাগুলো চলছে তাতে বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ব্যাপক আশঙ্কা রয়েছে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক